খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  ঘূর্ণিঝড় এখন খুলনার কয়রায়, বেলা ১১টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হবে
  ঘূর্ণিঝড়ে ৪০ লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই অনেক এলাকায়

সেবা বন্ধ করে তালায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

তালা প্রতিনিধি

চাকুরী বৈষম্য দুরকরণ ও নানা অনিয়মের অবসান চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে সাতক্ষীরার তালা সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রোববার থেকে তালা সাব- জোনাল অফিসের কার্যালয়ে এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখেছেন তারা।

সোমবার (৬মে) দুপুরে তালা সাব-জোনাল অফিসের কার্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বাদে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন তারা। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

তালা সাব-জোনাল অফিসের এক কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অফিসের অব্যবস্থাপনায় চলছে। আমরা কোন বৈষম্য চাই না। আমরা একটা সমাধান চাই। এজন্য আমরা সকল কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছি। আজ আমরা ২য় দিনের মতো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন জোনাল ও সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করছি। মাঠ পর্যায়ে শুধু বিদ্যুৎ ছাড়া সকল গ্রাহক সেবা বন্ধ রয়েছে, আগামীতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

তালা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মঞ্জুরুল আকতার জানান, গ্রাহকরা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখার চেষ্টা করি।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্বনীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীগ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে,পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রয়কের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা পবিসের দুইজন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দুইজন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বদলি এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়।

এদিকে রবিবার থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে আন্দোলনকারীরা জানান। তবে সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

খুলনা গেজচেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!